ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরে কদর বেড়েছে মাংস কাটার খাটিয়ার। কোরবানিকে কেন্দ্র করে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতির ক্রয় ও মেরামত করাও প্রায় শেষ সাধারণ মানুষের। তাই মাংস কাটার সুবিধার্থে এখন খাটিয়ার দোকানে ভিড় করছেন তারা। মানুষের চাহিদা বিবেচনায় ক্ষুদ্র ও মৌসুমি বিক্রেতারা এসব খাটিয়ার পসরা নিয়ে বসেছেন চিরিরবন্দরসহ রানীরবন্দরের বিভিন্ন সড়কের ধারে। অস্থায়ী দোকান বসিয়ে বিভিন্ন মাপের ও দামের খাটিয়া বিক্রি করছেন ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ আসছেন প্রয়োজনীয় এ বস্তুটি কিনতে। ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তেঁতুল কাঠের তৈরি এসব খাটিয়া।
রানীরবন্দরের বিক্রেতা আনিছুর রহমান জানান, খাটিয়ায় সাধারণত তেঁতুল কাঠ ব্যবহার করা হয়। এ কাঠ অপেক্ষাকৃত শক্ত। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে তেঁতুল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এ কাঠের খাটিয়ায় দাম একটু চড়া।
খাটিয়া ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদ এলেই খাটিয়ার প্রয়োজন হয়। তেঁতুল গাছের একটি খাটিয়া নিলাম। দাম নিয়েছে ৪০০ টাকা।
রানীরবন্দরের কাঠ ব্যবসায়ী আস্তানুল হক জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন স’ মিল থেকে এমন ছোট ছোট কাঠের গুঁড়ি কেনা হয়। এরপর সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী নির্দিষ্ট মাপে টুকরো করে খাটিয়া তৈরি করেন তারা।