দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় ধান, খড়, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল শুকানো হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রোদে বোরো ধান-খড় শুকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব আঞ্চলিক সড়ক, মহাসড়ক। ধানের খড় পিচ্ছিল হওয়ায় ওই সব রাস্তায় সামান্য কারণে যানবাহন পিছলে দুর্ঘটনা পড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক পাকা-কাঁচা রাস্তায় ধান-খড় শুকানো হচ্ছে। এসব রাস্তা বিভিন্ন মৌসুমি ফসল শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে। চাষিরা সাময়িক উপকার পেলেও বিপাকে পড়েছেন চলাচলকারীরা। ধানের খড় অতি পিচ্ছিল থাকায় সেখানে যানবাহন ব্রেক করলেও পিছলে যায়। সামান্য কারণেই যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে যানবহন ও যাত্রীদের ক্ষতি হয়। এসব সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এ অবস্থা দিনাজপুরের খানসামা, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরল, বীরগঞ্জ, কাহারোলসহ বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে। ভ্যানচালক আবুল হোসেন, অটো রিকশাচালক মতিউর রহমান, নুর আলম বলেন, রাস্তার ওপরে ধান-খড় শুকানোয় যাত্রী নিয়ে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। কৃষকসহ তাদের লোকজন সাইড দিতে চায় না। ফলে অনেক সময় টুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মোটরসাইকেল চালক মোর্শেদ বলেন, ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছি। রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গাড়ি পিছলে যাচ্ছে।
চিরিরবন্দরের বেলতলী বাজার থেকে দেবিগঞ্জ বাজার রাস্তা, বিন্যাকুড়ি বাজার থেকে ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, চিরিরবন্দর থেকে আমতলী বাজার রাস্তা, শান্তির বাজার থেকে ভায়া কতুবডাঙ্গা উচিতপুর রাস্তাসহ ছোট রাস্তাগুলোতে কৃষকরা বাধাহীনভাবে পাকা রাস্তার ওপরে ধান-খড় শুকানো হচ্ছে। চিরিরবন্দরের রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, অন্যবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে ধান শুকানো যেত না। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি করে দিতে হতো। এবার রোদে ধান, খড় সব শুকাতে পারছি। আশা করি, দাম ভালো পাওয়া যাবে। এ ছাড়া খড় শুকানোতে গোখাদ্য ও জ্বালানি সংকটে পড়তে হবে না।চিরিরবন্দর রাস্তায় ধান শুকানো কৃষক আবদুল মতিন ও খাদেমুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে ধান মাড়াইয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এ সময়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ অন্যায় কাজ করতে হচ্ছে। অনেকে বকাবকি করলেও তা শুনতে হচ্ছে।