ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও নির্যাতন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটজনের নামে কালীগঞ্জ থানায় শুক্রবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহ আসাদুজামানের শ্যালক সৌরভ। আসামিদের মধ্যে তানভির রনি ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাটি ঘটে ১১ জুন রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বাদেডিহি গ্রামে। অপহৃত শাহ আসাদুজামান ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ব্যবসার সুবাদে কালীগঞ্জের বাদেডিহী এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার রাতে ভাড়া বাসার সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন আসাদুজামান। তখন স্থানীয় আ. করিম ও সবুজ একটি মোটরসাইকেল এসে দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ঠিকডাঙ্গা দাসপাড়া মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত শরিফুল, তানভির রনি, রিয়াজ, স্বপন, ইয়াছিন ও হামিদসহ অজ্ঞাত তিন-চারজন আসাদুজ্জামানকে নির্যাতন করে। তারা দাবি করে ২ লাখ টাকা। রাতেই অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী বিকাশ নম্বরে দাবিকৃত টাকা পাঠানো হয়। এরপর হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ঠিকডাঙ্গা দাসপাড়ায় ফাঁকা মাঠে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।
জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক জানান, তানভির রনি জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি। অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা যদি সত্য হয় এবং এর সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত থাকেন আবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বারোবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকারিয়া মাসুদকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বারোবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। তারা পদক্ষেপ নেবেন।