চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতের মালখানা থেকে লুট হওয়া স্বর্ণ, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ১১ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। লুট হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে- অফিসে ব্যবহৃত কম্পিউটার সেট, প্রিন্টার, স্ক্যানার, সিসি ক্যামেরার মনিটর ও ডিভাইস, আলামতের মোটরসাইকেল, মোবাইল, নগদ টাকা, মাদক, পিস্তল ৫০টি, গুলি ২৫০ রাউন্ড, পিস্তলের ম্যাগাজিন ১০০টি, শুটারগান ২০টি, শুটারগানের গুলি ২৫টি, দেশিঅস্ত্র, স্বর্ণালংকার, রোপ্য ও বিভিন্ন গাড়ির ব্যাটারি। আলামত লুট হওয়ায় মাদক ও অস্ত্র কারবারিরা বিচারে ছাড়া পেয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, ফৌজদারি মামলায় আলামতের গুরুত্ব অনেক। এগুলো অভিযোগ প্রমাণে সহায়ক হয়। মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত আলামত যত্নসহকারে রাখার নিয়ম। বিচার চলাকালে সেটি উপস্থাপনের প্রয়োজনে হাজির করা না গেলে ন্যায়বিচার পেতে শঙ্কা থেকে যায়। জানা যায়, মালখানা লুটপাটের ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিদর্শক (মালখানা) মনিরুল করিম খান বাদী হয়ে মামলা করেন। আসামির সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। অভিযোগ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যান। এ সংবাদ টেলিভিশনে প্রচারের পর ছাত্র-জনতা রাস্তায় মিছিল করতে থাকে। তখন দুর্বৃত্তরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর কোর্ট মালখানায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। লুট করা সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৬০ কোটি টাকা।
সদর থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, আদালতের মালখানায় লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে মালামাল উদ্ধারে তৎপরতা চলছে। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগও কাজ করছে। অনেক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করি, অচিরেই লুটের মালামাল উদ্ধার হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার হবেন না।