ধান খেতে ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত ও দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দিনাজপুরে শুরু হয়েছে আলোক ফাঁদ কার্যক্রম। পরিবেশবান্ধব ও স্বল্পব্যয়ী এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই পোকার উপস্থিতি চিহ্নিত করে দমন করতে পারছেন। এতে উৎপাদন ব্যয় কমছে এবং ভালো ফলনের সম্ভাবনা বাড়ছে। কয়েকজন কৃষক জানান, আলোক ফাঁদের কার্যকারিতা সরাসরি দেখে তারা উপকার পাচ্ছেন। কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, আলোক ফাঁদে পোকার উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় দ্রুত দমনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ফসলের ক্ষতি কমেছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার ১৩টি ব্লকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে একযোগে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। সপ্তাহের প্রতি সোম ও মঙ্গলবার কৃষকদের নিয়ে একযোগে এ ফাঁদ স্থাপন করা হয়। চিরিরবন্দরের কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, আমন মৌসুমে ক্ষতিকর পোকা-মাকড় কৃষকের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সঠিক সময়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে উৎপাদন কমে। আলোক ফাঁদের মাধ্যমে এসব পোকা দমন ও চিহ্নিত করা গেলে কীটনাশক ব্যবহার কমানো সম্ভব। যা কৃষক ও পরিবেশ উভয়ের জন্যই কল্যাণকর।
তিনি আরও জানান, রাতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ আলোতে আকৃষ্ট হয়ে ফাঁদে আটকা পড়ে। মাঠের পোকা-মাকড় সহজেই দমন করা
যায়। এটি সাশ্রয়ী ও কার্যকর পদ্ধতি।