হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দলাগাঁও গ্রামে এক ভিক্ষুকের মৃত্যুর পর তাঁর ঘর থেকে মিলেছে বস্তা ভর্তি টাকা। ওই ভিক্ষুকের নাম নাসির মিয়া (৭০)। বৃহস্পতিবার বার্ধক্যের কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। শুক্রবার তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি পুরোনো বস্তা দেখতে পান। বস্তাটি খুললে চোখে পড়ে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকার নোট। পরে স্থানীয় মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে গোনা হলে দেখা যায়, বস্তায় রয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। কেউ কেউ বলছেন, কারও ওপর আস্থা না থাকায় তিনি টাকাগুলো ঘরেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর পরিবারের হেফাজতেই রাখা হয়েছে। বহরা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি আমার কাছে বয়স্কভাতার আবেদন করেছিলেন। তখনো ধারণা ছিল না, তাঁর কাছে এত টাকা থাকতে পারে।’ এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাছুমপুর মধ্যপাড়ায় মোছা. সালেয়া বেগম নামে এক ভিক্ষুকের ঘর থেকে আরও এক বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার একই ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দুই বস্তা কয়েনসহ বিভিন্ন অঙ্কের নোট। গতকাল উদ্ধার হওয়া বস্তায় ৪৭ হাজার ৮২৬ টাকা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুই দফায় উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯ টাকা।
স্থানীয় কাউন্সিলর শিপু আহমেদ জানান, প্রায় ৬৫ বছর বয়সি সালেয়া বেগমের বাড়ি মাছুমপুরে। তিনি রায়পুর এলাকায় সিরাজগঞ্জ জাতীয় জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি বারান্দায় বসবাস করতেন। ছয়-সাত দিন আগে তিনি জানান তার কাছে কিছু টাকা আছে। তার তথ্যমতে বৃহস্পতিবার ঘরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে দুই বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়।
আর শনিবার ঘর ও বারান্দায় তল্লাশি চালিয়ে আরও এক বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়।
সালেয়া বেগমের মেয়ে শাপলা খাতুন জানান, এই টাকা দিয়েই মায়ের চিকিৎসা করা হবে। তার জামাতা শহিদুল ইসলাম বলেন, শাশুড়ি আমাদের সঙ্গে থাকতেন না। তিনি অসুস্থ। চিকিৎসার কথা বললে উত্তর দিতেন না।