জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে হঠাৎ দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। কয়েক দিনের অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি ও শত শত হেক্টর ফসলি জমি। বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়া ছাড়াও খেতের অপরিপক্ব ফসল কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে। জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করেছেন তারা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জামালপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন, নদনদীর কোন অংশ ভাঙনপ্রবণ সেসব স্থান আগে থেকে চিহ্নিত করার মতো কোনো পদক্ষেপ বা গবেষণা পরিচালনা করে না পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। শুধু ভাঙন শুরু হলেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ভাঙন মানেই বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থ লোপাটের মহোৎসব। লোক দেখানো সান্ত্বনা নয়, নদীভাঙন রোধে প্রয়োজন উচ্চপর্যায়ের গবেষণা ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ। জামালপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান বলেন, পানি বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়ার সময় নদীভাঙন দেখা দেয়। কখন, কোথায় ভাঙন শুরু হবে তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না। এ ধরনের কোনো সমীক্ষাও নেই। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) একটি প্রকল্পের আওতায় ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করছে। সেই প্রকল্পে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনকবলিত স্থান তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বাজেট পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে সময় লাগবে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদ হঠাৎ যেন আগ্রাসি হয়ে উঠেছে। রাত-দিন পাড় ভেঙে আছড়ে পড়ছে নদের বুকে। নির্ঘুম রাত কাটছে নদের তীরবর্তী মানুষের। চলতি মৌসুমে নদের পানির প্রবাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ভাঙন শুরু হওয়ায় হতবাক তারা। নদের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। হুমকিতে রয়েছে শত শত বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ফসলি জমি, পোল্লাকান্দি সেতুসহ বিভিন্ন স্থাপনা। আশ্রয় ও সহায়-সম্বল হারিয়ে প্রতিনিয়তই নিঃস্ব হচ্ছে অনেকে। সরকারিভাবে ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্তরা। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ইতোমধ্যে পোল্লাকান্দি মধ্যপাড়া এলাকায় নদের পাড়ে মানববন্ধন করেছেন তারা। পোল্লাকান্দি এলাকার বাসিন্দারা জানান, ‘বৃষ্টি নেই, বন্যা নেই, অসময়ে এমন ভাঙন কখনো দেখিনি। ভাঙনের ফলে অনেক বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদের গর্ভে চলে গেছে। আমাদের থাকারও কোনো জায়াগ নেই, নেই চাষাবাদের জমি। আমরা সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও বিলীন হয়ে যাবে। আমরা ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ চাই।’
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ