নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৯তম ওফাত বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এর ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে মাজারে পুস্পস্তর্বক অর্পণ করা হয়।
এ সময় ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণ যুগ যুগ জিও তুমি মাওলানা ভাসানী শ্লোগানে মুখরিত করে রাখেন ভাসানীর অনুসারী ও মুরিদবৃন্দ।
পরে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, জাতীয় পাটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকবৃন্দ ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তর্বক অর্পন করেন এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
এদিকে ভাসানীর ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে বসেছে ৫ দিনব্যাপী ভাসানী মেলা। মেলা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী তোবারক বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্ম ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে। ৯৬ বছর বয়সে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজীবন বিদ্রোহী এই প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। পরদিন তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। ইসলামের সাম্যবাদ, স্বাধীনতা ও রবুবিয়াতের মুল্যবোধ ও কমিউনিজমের শোষন-নিপীড়ন বিরোধী লড়াইয়ের অঙ্গীকারের সমন্বয়ের প্রতীক মাওলানা ভাসানী ওফাতের পরেও বাংলাদেশের জাতীয় সংকট-সংকল্পে প্রেরণা যুগিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা