নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর আজ রবিবার দুপুরে হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওযার সময় নিহতের শ্বাশুড়ি ও ননদকে আটক করে পুলিশ।
নিহত সীমা আক্তার (২৩) রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদী নগর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে, তিন বছর আগে নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে আমানাতপুর গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে ফিরোজ আহম্মদ সোহেলের বিয়ে হয়। এরপর থেকে যৌতকের দাবিতে সীমার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে স্বামী। এনিয়ে একাধিক বার এলাকায় সালিশী বৈঠক হয়।
শনিবার রাতে নির্যাতনের পর রবিবার দুপুরে গুরুতর অবস্থায় সীমাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে মরদেহ রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকজন সীমার শাশুড়ি ফুলমতি ও ননদ পপি আক্তারকে আটক করে সুধারাম থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা