সিরাজগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেলিনা খাতুন (৩০) নামে এক প্রতিবন্ধী নারীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। সে কামারখন্দ উপজেলার উপজেলার পাইকোশা লাহিড়ীবাড়ী গ্রামের মৃতবশির উদ্দিনের মেয়ে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গর্ভবতীর কারণে শারিরীকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ দেবপদ রায় জানিয়েছেন।
প্রতিবন্ধী সেলিনার মা মরিয়ম বেগম ও বড় ভাই মোকাদ্দেস আলী জানান, পা না থাকায় হাটুর উপর ভর করে চলতো সেলিনা। সে মানসিকভাবেও ভারসাম্যহীন ছিল। মাঝে মধ্যে হাতের উপর ভর করে ক্ষেতে শাক তুলতে যেতো। এ সুযোগে প্রতিবেশী মৃত মোকতেল আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৫০) তাকে ফুসলিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরিবারের কেউ সেভাবে তার খোঁজ না করায় বিষয়টি তাদের কাছে অজানা থেকে যায়। এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। সপ্তাহ খানেক পূর্বে তার মাতৃত্বের লক্ষণ পুরোপুরি প্রকাশ পেলে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় সে পরিবারকে সবকিছু জানায়। বৃহস্পতিবার দুপুরর দিকে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে গ্রাম্য শালিস বসানো হয়। শালিসে আবু সাঈদ বিষয়টি স্বীকার করে। এ নিয়ে ওই শালিসে প্রতিবন্ধী ওই নারীর সাথে সাঈদের বিয়ে এবং ১২ শতক জমি ও নগদ একলক্ষ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত দেওয়ার হয়েছিল।
ঝাঐল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল জানান, বিষয়টি শুনে আমরা শালিসী বৈঠকের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু মিমাংসা দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল সর্দার জানান, বিষয়টি শোনার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন