এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ৪ জুন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোদালকাটা গ্রামে জমি সংক্রান্ত ও বিদেশি অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাউছার তার হাতে থাকা ডেগার দিয়ে আঘাত করে আ. মোমেন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। এ ঘটনায় মৃত আ. মোমেন (২৪) এর পিতা বাদী হয়ে একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে কাউছার মিয়া, একই উপজেলার আলগী গ্রামের আ. সালামের ছেলে খলিল মিয়া, একই উপজেলার কোদালকাটা গ্রামের জামাল উদ্দিনের পিতা লিপি আক্তার, জামাল উদ্দিনের স্ত্রী নূর জাহান বেগম, সুর’জ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি ২০০২ সালের ১১ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. আই নূরুল আমিন আদালতে চার্জশীট দাখিল করলে বাদী পক্ষে অসন্তুষ্ট হয়ে নারাজি দাখিলের প্রেক্ষিতে পুনরায় তদন্ত করে চার্জশীট দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ প্রদান করেন। সিআইডি কর্মকর্তা তদন্তপূর্বক ২০০৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
পরবর্তীতে ওই মামলায় ১৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ পূর্বক যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ৬ জন আসামির মধ্যে ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এর মধ্যে পলাতক আসামি কাউছার মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অপর দুই আসামি রফিকুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়াও আসামি খলিল মিয়াকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড এবং লিপি আক্তার ও নূর জাহান বেগমকে খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আবু তাহের।
বিডি-প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ