হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যার ঘটনায় আরও এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খোন্দকারের কাছে আসামি জুয়েল মিয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে চার শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
চার শিশুর লাশ পাওয়ার দিন বুধবার রাতে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন তাকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার জুয়েলের ছোট ভাই রুবেল মিয়া একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির বলেন, জুয়েল রিমান্ডে যে কথা বলেছে, রুবেলের দেওয়া স্বীকারোক্তির সঙ্গে তার মিল রয়েছে। তবে কাউকে আড়াল করা হচ্ছে কি না এবং আরও কেউ জড়িত আছে কি না- তার জন্য জুয়েলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে শনিবার গ্রেফতার আসামি সালেহ আহমেদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। সোমবার এই রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে। একইদিন বশির ও আরজুরও রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রবিবার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে আব্দুল আলী বাগাল ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। আর তার দুই ছেলে রুবেল এবং জুয়েল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০), আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) ও তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০) ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি মাটি চাপা অবস্থায় চার শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ