শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুণ্ডেরচর ইউনিয়নে 'অসামাজিক কার্যকলাপের' অভিযোগ ওঠে এক তরুণ ও এক কিশোরীর বিরুদ্ধে। এরপর সামাজিক বিচারের নামে তাদেরকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা এবং জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন এক ইউপি সদস্য। খবর বিডি নিউজের।
দুই সপ্তাহ আগে সংঘটিত হয় এই ঘটনা। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তা নিয়ে এলাকায় তুমুল আলোচনা হচ্ছে।
কুণ্ডেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন বেপারী বলেছেন, ওই ইউপি সদস্যের এই অন্যায়ের বিচার হওয়া উচিত। ঘটনাটি শোনার পর তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষও।
নির্যাতনের শিকার কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের আবদুল মান্নান মল্লিককান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী এবং ঘাটকুল আবদুল মন্নান মল্লিককান্দি গ্রামের এক তরুণ (১৮)।
জানা যায়, ওই তরুণ ও কিশোরী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসাইলবাড়ি এলাকায় তাদের আটক ককরে আবদুল মান্নান মল্লিককান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে সবার সামনে জুতাপেটা করা হয়। এর ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানেয়েছেন, স্থানীয় সুলতান মল্লিক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামাল হোসেন তাদের উপর এই নির্যাতন চালান। প্রথমে জুতা দিয়ে পেটানোর পর জুতার মালা পরিয়ে তাদের বিদ্যালয়ের মাঠে ঘোরানো হয়।
এদিকে, ইউপি সদস্য কামাল বলেন, এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ করার কারণে তাদের সামাজিকভাবে বিচার করা হয়েছে।তবে তারা কী ধরনের 'অসামাজিক কার্যকলাপ' করেছিল সে বিষয়ে কামাল কিছু বলেননি।
নির্যাতিত ওই তরুণ ও কিশোরীর পরিবার ভিডিও ধারণকারীকে বলেছে, ইউপি সদস্য কামাল তাদের বাড়ি থেকে দূরে কোথাও যেতে দিচ্ছেন না বলে তারা মামলা করতে পারছেন না। বিষয়টি জানানোর পর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন বেপারী বলেন, ওরা (তরুণ-কিশোরী) কোনো অন্যায় করলে প্রশাসনে না দিয়ে আইন হাতে নিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। এটা চরম অন্যায়, এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।
জাজিরা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি সাংবাদিকদের কাছে শোনার পর তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা