শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি এক দিনের ছুটিতে পর্যটন নগরী উখিয়ার ইনানীতে নেমেছে লাখো পর্যটকের ঢল। পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসাহের আমেজ। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন্ উদ্যোগ।
একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটির সঙ্গে দু-এক দিনের বাড়তি ছুটি নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন অনেকেই। গত দুইদিনের পরিবেশ বলে দিচ্ছে সৈকত নগরী ইনানীতে পর্যটক শূন্যতা কেটে গেছে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে পর্যটন স্পটগুলো। হতাশায় ডুবে থাকা এ শিল্পনির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে। সাথে লাখো পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে ইনানীর নয়নাভিরাম পর্যটন স্পটগুলো।
এ বছর পর্যটকদের তেমন কাছে টানতে না পারায় সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা দারুন হতাশায় পড়ে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আশানুরূপ পর্যটক আসাতে হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউজ থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
এখানকার রিক্সা চালক থেকে টেক্সি ড্রাইভার, খাওয়ার হোটেল ব্যবসায়ী, ডাব বিক্রেতা, শুটকি বিক্রেতা সব ক্ষেত্রে যেন উৎসবের আমেজ। পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে লাখ লাখ পর্যটকের সমাগমে তাদের হতাশা কেটে গেছে। একইসঙ্গে লাখ লাখ লোকের সমাগম, নারী-পুরুষের মহা সম্মেলন, সব বয়সের শিশু-কিশোর, তরুন তরুনীর উচ্ছ্বাস রাঙ্গিয়ে তুলেছে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি ইনানীকে। পর্যটকদের পদভাবে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিখ্যাত পর্যটন স্পট দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনও। সেখানেও হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় শুরু হয়েছে গত ২দিনে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পর্যটকদের হয়রানী ও নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশি তৎপরতা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ