বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচনে ৯টি উপজেলার ৭৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১৪জন প্রার্থী। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ সবকয়টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়ে ১৯টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদন্ধিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন।
তবে বিএনপি প্রার্থী দিতে পেরেছে মাত্র ৪২টি ইউনিয়নে। এরমধ্যে মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলার কোন ইউনিয়নেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন ৭টি, সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপা দিয়েছে মাত্র ৪টি, ওয়াকার্স পার্টি ৩টি, বিকল্প ধারা, বিএনএফ ও তরিকত ফেডারেশন একটি মাত্র ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পেরেছে।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন অফিস এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাটে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত ১৯ ইউপি চেয়ারম্যান
বাগেরহাটে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ১৯ ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নে মনোয়ার হোসেন টগর, ডেমা ইউনিয়নে মো. মনি মল্লিক, যাত্রপুর ইউনিয়নে এমএ মতিন, গোটাপাড়া ইউনিয়নে শেখ শমসের আলী, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে শংকর পাল। মংলার সোনাইলতলায় নাজিনা বেগম নারজিনা। চিতলমারীর সন্তোষপুর ইউনিয়নে সামিয়া রহমান বিউটি, হিজলায় মো. আজমীর কাজী, চরবানিয়রীর অশোক কুমার বড়াল, বড়বাড়িয়ায় মো. মাসুদ সরদার, কলাতলায় মতিয়ার রহমান শিকদার। মোল্লাহাটের উদায়পুরে হায়দার মামুন, কুলিয়ায় মো. বাবলু মোল্লা, কোদালিয়ায় সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, আটজুড়িতে মো. মশিউর রহমান মিয়া। রামপালে মল্লিকেরবেড়ে তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলাম। ফকিরহাট সদরে নয়নে শিরিনা আক্তার কিসলু, মূলঘরে হিটলার গোলদার। মোড়েলগঞ্জের পঞ্চকরনে আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
মনোনয়ন পত্র ছিনতাই অর্ধশত প্রার্থীর
বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও জামায়াতের র্শীষ নেতাদের অভিযোগ, জেলায় তাদের অর্ধশত দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেননি আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। মনোনয়ন পত্র ছিনতাই, হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের দলীয় প্রার্থীদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখায় তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি। জামায়াতের যে সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও অবরুদ্ধ করে রাখার কারনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি তারা হলেন, কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাজাবুল হক, মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় মো. সেলিম উদ্দিন, ফকিরহাট সদরে মোফাজ্জেল হায়দার, মংলার মিঠাখালীতে জহির উদ্দিন বাবর ও সোনইলতলায় মোস্তাইন বিল্লাহ।
বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি এমএ সালাম অভিযোগ করেছেন, বাগেরহাট সদরের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শরাফত হোসেন লাবলু, গোটাপাড়ার কারারুদ্ধ বাশারাত হাওলাদার, ডেমায় আবু বকর, কচুয়ার রাড়ীপাড়ার সরদার রেজাউল করিম চল, গজালিয়ার শিকদার আজহার আলী, ফকিরহাটের মৌভোগের আকরাম হোসেন, মুলঘরে আকতারুজ্জামান মন্টু, আরিফুজ্জামান পিন্টুর মনোনয়নপত্র ছিনতাই হয়েছে। এছাড়া মোরেলগঞ্জ ১টি, মংলায় ১, মোল্লাহাটে ৬টি, চিতলমারীতে ৭টিসহ মোট ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে তা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন