নীলফামারীতে চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে তিন ভাইয়কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত দায়রা জজ মাববুবুল আলম ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
একই মামলায় পাঁচজনের একবছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সশ্রম সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ডিকশো মোল্লাপাড়া গ্রামের মজাহারুল ইসলামের ছেলে নিহতের চাচাতো ভাই মকছেদুল ইসলাম (৩৫), মকছেদুলের ছোটভাই মোস্তাকিন (৩৩) ও তাদের চাচাতো ভাই আছান উদ্দীনের ছেলে এমদাদুল হক (৫৩)।
অপরদিকে এক বছরের সশ্রম সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, যাবজ্জীবন সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত মকছেদুলের বাবা মোজাহারুল ইসলাম (৬৮), মকছেদুলের মা নেছাবী বেগম (৬৩), মকছেদুলের স্ত্রী অবিতন (৩১), সাজাপ্রাপ্ত ছোটভাই মোস্তাকিনের স্ত্রী লিপি (৩০), মকছেদুলের ছোটভাই মহসীন আলীর স্ত্রী নমনী (২৫)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে মোস্তাকিন ও এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত তার স্ত্রী লিপি এবং মকছেদুলের স্ত্রী অবিতন পলাতক রয়েছেন।
২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ডিকশো মোল্লাপাড়া গ্রামের আছান উদ্দিনের ছেলে এমাদাদুল জ্বালানী খড়ি বিক্রির জন্য নীলফামারী সদরের চওড়া বাজারে যাওয়ার সময় পথে চাচাতো ভাই বদিউজ্জামনের ছেলে জুয়েল এমদাদুলকে ঠাট্টা-মশকরা করেন। এনিয়ে চাচা এমদাদুল ভাতিজা জুয়েলকে থাপ্পর মারে। এতে এমদাদুল ও বদিউজ্জামানের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘর্ষে বদিউজ্জামান গুরুতর আহত হলে তাকে সৈয়দপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
এঘটনায় নিহত বদিউজ্জামানের ছোটভাই সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর আটজনকে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মঙ্গলবার দুপুরে ওই আদেশ দেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মোস্তাকিন ও তোর স্ত্রী এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত লিপি এবং মকছেদুলের স্ত্রী অবিতন পলাতক রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন