বগুড়ার শাজাহানপুরে পুলিশের উপর ককটেল হামলায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার দুবলাগাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ যুবলীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম লিটন (৩০) শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই উপজেলার ডেমাজানী গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গ্রামীণ ফাস্ট ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সেলস এক্সিকিউটিভ মামুনুর রশিদ মানিক (৩০) হত্যা মামলায় পুলিশ সোমবার রাতে উক্ত যুবলীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম লিটনকে রাত ১১টায় ডেমাজানি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর রাত দুইটার দিকে থানা পুলিশের একটি দল লিটনকে সাথে নিয়ে দুবলাগাড়ি বাজারে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। এসময় লিটনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কালাচাঁদ ঘোষ, কনস্টেবল আব্দুল হামিদ, মেহের আলী ও সবুজ মিয়া আহত হন।
একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা লিটন পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তার ডান পায়ে গুলি করে আটক করে। আহত পুলিশ সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই পুলিশ এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে ৪টি ককটেল, ৩টি রামদা, ১টি ডেগার উদ্ধার করে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, লিটনকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় লিটন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এতে লিটন ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে দুবলাগাড়ি বাজারের অদুরে করতোয়া নদী থেকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ গ্রামীণ ফাস্ট ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সেলস এক্সিকিউটিভ মামুনুর রশিদ মানিকের (৩০) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব