নেত্রকোনায় আলোচিত স্টুডিও ব্যবসার আড়ালে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা পর্নগ্রাফি মামলায় চাকুরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আমিনুল ইসলাম মাসুমের জামিন না মঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামি মাসুম সাত দিন আগে গত মঙ্গলবার জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এরপর আজ মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাসুমকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিম। পরে শুনানি শেষে বিচারক আলমগীর কবির শিপন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ফচিকা বাজারে স্টুডিও ব্যবসার আড়ালে চাকুরিচ্যুত বিজিবি সদস্য ছবি তুলতে আসা কিশোরীদের নানা প্রলোভনে ধর্ষণ করে আসছিল। একের পর এক এ সকল শ্লীলতাহানির ঘটনা গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে সেসব ভিডিওচিত্র অর্থের বিনিময়ে বাজারে ছড়িয়ে দেয় আমিনুল। বিষয়টি জানা জানির পর স্টুডিওতে ভাংচুর চালায় এলাকাবাসী। খবর পয়ে পুলিশ স্টুডিওর কম্পিউটারসহ ক্যামেরা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১০ দিন পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে মমালা দায়ের করে আমিনুলের বিরুদ্ধে।
মামলার ১৫ দিন পর গত মঙ্গলবার জামিন নিতে আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শাহ্নুর-এ-আলম বলেন, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব