নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে হিজবুত তাওহীদ ও গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার দুইদিন পর অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ১টি মামলা করেছে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। আর দুইকর্মী হত্যার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে হিযবুত তাওহীদের পক্ষ থেকে ১৬ জনকে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে।
বুধবার দুপুরে সোনাইমুড়ি থানার এসআই সাঈদ বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলা, হত্যা, সংঘর্ষ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি এবং হিযবুত তাওহীদের দুইকর্মী হত্যার প্রতিবাদে হিযবুত তাওহীদের পক্ষ থেকে ১৬ জনকে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মোল্লাকে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫ হাজার গ্রামবাসীকে আসামী করে এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। সোনাইমুড়ি থানার ওসি কাজী হানিফুল ইসলাম মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এছাড়াও সোমবার উদ্ধারকৃত হিজবুত তাওহীদের ১১৪ জন কর্মীকে ৫৪ ধারা গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামে হিজবুত তাওহীদের সদস্যদের সাথে গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় হিজবুত তাওহীদের ২ কর্মী ও ১ গ্রামবাসীসহ ৩ জন নিহত হয়। সোমবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনায় ৫ পুলিশের সদস্যসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয় এবং রাতে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী থানায় হামলা করে। এসময় পুলিশের সাথে গোলাগুলি হয়। ডিসি ও এসপি’র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, অপরাধী যেই হোক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অযথা নিরাপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ জানান, পুলিশের উপর হামলা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং দুইকর্মী হত্যার প্রতিবাদে হিযবুত তাওহীদের পক্ষ থেকে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন