ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্নদ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় বাহার মেম্বারের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সিএনজি থেকে ২ আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাহার মেম্বার গুলিবিদ্ধ এবং ৫ পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা চলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার সাগরিয়া বাজার থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী রফিক উল্লাহ ও জুয়েলকে গ্রেফতার করে হাতিয়া থানার নিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাসার সামনে আসলে বাহার মেম্বারের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে সিএনজি থেকে শর্টগান ও ২ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠা চালায়। এ সময় পুলিশ ৩৫ রাউন্ড গুলি চালায়। সন্ত্রাসীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। হামলায় এসআই লুৎফুর রহমান, পুলিশ সদস্য প্রবির, হাসেম ও বাদলসহ ৫ জন আহত হয়। ঘণ্টাব্যাপী পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের সাথে গুলি ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে পুলিশ আসামি নিয়ে থানায় চলে যায়।
হাতিয়া থানার ওসি আরিফুুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের কাছ থেকে আসামি ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউপি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা জন্য পুলিশ অস্ত্রসহ ২ সন্ত্রাসীকে আটক করে সিএনজিযোগে থানায় নিয়ে আসার সময় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাসার সামনের সড়কে আসলে বাহার মেম্বারের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসামী ছিনতাই করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সেখান থেকে ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব