ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভার নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে সকাল ১০টায় নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। সকাল ১০টায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টু তার বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
এর আগে প্রতিটি কেন্দ্রেই সরকার দলীয় প্রার্থীর এজেন্ট ও সমর্থকদের একচেটিয়া জাল ভোট দিতে দেখা গেছে। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে সোনাগাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর দুই প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জহির উদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে তার পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলা হয়। এই সময় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রের মধ্যে ৬ থেকে ৭টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রের আশপাশে বিক্ষিপ্তভাবে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জামাল উদ্দিন সেন্টু সরকারদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছেন। তবে সরকার দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খোকনকে কোনো কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। প্রতিটি কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও ফেনী এবং আশপাশের এলাকা থেকে আগত বহিরাগতরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জাল ভোট দিচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাল ভোটের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
নির্বাচনে সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ৯টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ১৯০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। সোনাগাজী পৌরসভায় নির্বাচনে এক মেয়রে বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টু, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মজিবুল হক মানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু নাছের, শেখ সেলিম ও নাছির উদ্দিন রিপন। অন্য দিকে সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে ১২ কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের মধ্যে ৪ মেয়র প্রার্থী ও ২২ কাউন্সিলর প্রার্থী স্বশিক্ষিত বলে তাদের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এদের মধ্যে সেন্টু এইচএসসি ও খোকন এলএলবি পাস। এছাড়া অধিকাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধে মামলা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ ২০১৬/শরীফ