নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী প্রধান সড়কের মোবাইল ফেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ কবির মিরণ ও তার কর্মচারী সুমন পাল হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় ১৩জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নোয়াখালীর অতি: জেলা ও দায়রা জজ-২ এএনএম মোরশেদ খান।
বুধবার বিকালে এ রায় প্রদান করা হয়।
উক্ত মামলার ২৩ আসামীর মধ্যে ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০জনকে খালাস দেয়া হয়। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, কামরুল হাসান প্রকাশ কামরুল ডাকাত, মোফাজ্জল হোসেন প্রকাশ জাবেদ, কামাল হোসেন প্রকাশ এলজি কামাল, মো: রাশেদ ড্রাইভার, আবদুস সবুর, জাফর হোসেন প্রকাশ মইন্যা, আলী আকবর প্রকাশ সুজন, সামছুদ্দিন প্রকাশ ভুট্র, সাহাব উদ্দিন, নাছির উদ্দিন প্রকাশ মনজু, আবু ইউচুফ প্রকাশ সুমন তোফাজ্জল হোসেন প্রকাশ জুয়েল।
মামলা ও আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাইজদী মোবাইল ফেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ কবির মিরণ, তার ছোট ভাই সামছুল কবির রুবেল ও তাদের কর্মচারী সুমন পাল দোকান বন্ধ করে দোকানের মূল্যবান মোবাইল সেট নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে রাত প্রায় সাড়ে ১০টার সময় মাইজদী নাপিতের পুল এলাকায় পৌঁছালে উক্ত ডাকাতদল মাইক্রোবাস দ্বারা তাদের গতিরোধ করে একটি বিশেষ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে অপহৃতরা গাড়ির ভিতরে জবরদস্তি ও আত্মচিৎকার করলে অপহরণকারীরা চুরিকাঘাত করে দোকানের দামী মোবাইল ফোন ও বিক্রিত নগদ টাকা নিয়ে প্রথমে ফিরোজ কবির মিরণকে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। কিছু পথ অতিক্রম করার পর সুমন পালকে একই কায়দায় হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
অন্যদিকে, সামছুল কবির রুবেল গুরুত্ব জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়।
এঘটনায় নিহত মিরনের বাবা আবু বকর ছিদ্দিক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেছেন। বাদী পক্ষের মামলাটি পরিচালনা করেন এড. সাইফুল ইসলাম ও এপিপি এড. ফজলুল কবির রুবেল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন