লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নারী শ্রমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলার পর অভিযুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই আসামি বর্তমানে জেলা কারাগারে থাকলেও অন্য অভিযুক্ত আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে করে বর্তমানে ওই নির্যাতিতা নারী জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মপাড়ায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নারী। এসময় স্থানীয় হাছিনা বেগম নামে এক নারী তার স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়া প্রেম রয়েছে দাবি করে তাকে ধরে নিজেদের বাড়ি নিয়ে যান। একপর্যায়ে হাছিনার ভাই আজিজ, ছেলে ফারুক হোসেনসহ ৪/৫ জন ওই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এসময় তার মাথার চুল কেটে চুন-কালি মেখে দেয় তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারী রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী। একই দিন থানায় মামলার পর অভিযুক্ত আসামি হাছিনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারায় বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে ভিকটিম জানান। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে জেলা লিগ্যাল এইডের সদস্য ও এনজিও ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান চেীধুরী জানান, ভিকটিম নারীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে, তা না হলে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
রামগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সোলাযমান চৌধুরী জানান, নারী শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলার পর অভিযুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যদেরও খুঁজছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব