কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে ওই কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.নাজির হোসেন মিয়া বাদী হয়ে এ ঘটনায় মনোহগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক, উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান ওরফে শাহীন জিয়া নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এ ঘটনায় পর ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে শাহীন জিয়ার শ্যালক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এইচ নোমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.নাজির হোসেন মিয়া মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এইচ নোমানকে সরাসরি অভিযুক্ত করলেও অন্য আসামিদের নাম অজ্ঞাত বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান ওরফে শাহীন জিয়াকে পাওয়া যায়নি।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.নাজির হোসেন মিয়া বাদী হয়ে হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ওইদিন রাতে তিনি অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় আসামিরা তাঁর কার্যালয়ে ডুকে ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের একটি মনোনয়নপত্র ছিড়ে ফেলেন। এছাড়া আরও দুটি মনোনয়নপত্র জোরপূর্বক নিয়ে যান।
ওসি জানান, এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমানকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এদিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক আবদুল মমিনের বাড়িতে হামলা হয়েছে। কালিরবাজার ইউনিয়ন উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন জানান,বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তার নাম ধরে ডাকাডাকি করে বাড়িতে ভাংচুর চালায়। তিনি তখন বাড়িতে ছিলেন না। তার ধারণা নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে আসতে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন তার বাড়িতে হামলা করে।
বিডি-প্রতিদিন/৮ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-১০