টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রথম শ্রেণির এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে হামলা ও ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল করিম ভূইয়াকে গ্রেফতার করে।
শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের বংশাই রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি সওদাগড় পাড়া এলাকায় বেসরকারি একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে। তার বাড়ি জামালপুর জেলার ইমসলামপুরে। সে নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছে বলে তার মামী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানান, শনিবার দুপুরে ওই এলাকার সওদাগড়পাড়া গ্রামের শিশুটি আব্দুল করিমের দোকানে পান কিনতে যায়। পরে আব্দুল করিম সুযোগ বুঝে শিশুকে ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার হাতে দুইশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। শিশুটি এক পর্যায় ওই বাড়ির সামনের রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ঘটনাটি জানতে পেয়ে এলাকার শত শত লোকজন বাড়িটি ঘেরাও করে। এসময় আব্দুল করিম ঘরের চারপাশের দরজা-জানালা আটকিয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর নির্যাতিতা শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, উত্তেজিত জনতা ধর্ষকের মাধুরী ভিলা নামে একটি বাড়িটির দরজা-জানালা ভাংচুর করে এবং ঘেরাও করে রাখে। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায় উত্তেজিত জনতা ছাদের দরজা ভেঙ্গে ধর্ষক আব্দুল করিমকে গণধোলাই দিতে থাকলে তিনি নিজেই গেটের তালা খুলে বেরিয়ে এসে পুলিশের কাছে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ জনতার রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল করিম ভূইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর নির্যাতিতা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. রেহানা পারভীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার একটি শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব