পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম লিটুসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ওই নেত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।বির্তমানে আসামিদের অব্যাহত হুমকি-ধমকির কারণে বর্তমানে নির্যাতিত পরিবারটি এলাকা ছাড়া বলে জানা গেছে।
এ অবস্থায় অভিযুক্ত লিটু ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবার রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্যাতিত নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ‘গত ২৬ মার্চ রাতে তার স্বামী সেলিম গাজী মাছ ধরতে বাড়ির বাইরে গেলে আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল ইসলাম লিটু ও তার সহযোগীরা তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির আশপাশের লোকজন এসে পড়লে আসামি লিটু বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দিয়ে তার সঙ্গীদের নিয়ে চলে যায়।’
ঘটনার পর দিন ২৭ মার্চ রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ মামলা না নিলে ২৮ মার্চ এ ঘটনায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ নেতা লিটু ও তার দুই সহযোগী সহ মোট তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে রিপোর্ট দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মামলা দায়েরের পর থেকেই লিটু বাহিনীর অব্যহত হুমকির কারণে এলাকায় যেতে পারছেন না নির্যাতিত ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুব মহিলা নেত্রীর স্বামী ও বড়বাইশাদা ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম গাজী জানান, বর্তমানে তারা পার্শ্ববর্তী এলাকার জলিল ফরাজীর বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে নিজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল ইসলাম লিটু জানান, মামলায় যে তারিখ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সে সময়ে তিনি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-০৬/ রশিদা