বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভ্যানচালকের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত ওবায়দুর সিকদার (২৬)'র পিতা জোহর আলী শুক্রবার রাত ১১টায় মামলাটি করেন। মামলা হলেও এতে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওবায়দুরকে কারা, কেন হত্যা করেছে সে বিষয়ে পুলিশ এখনো কোনো ক্লু পায়নি। তবে মাদক সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ওবায়দুরকে হত্যা করে মাথা কেটে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
ওবায়দুর বনগ্রাম ইউনিয়নের পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী ছিল। রাত বিরাত সে তার ভ্যানে করে মাদকের চালান বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতো। স্থানীয়দের ধারণা, মাদকের কোনো বড় চালান একটি পক্ষ আত্মসাৎ করে তার প্রমাণ মুছে ফেলতে বাহক ওবায়দুরকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে নির্জন বাগানে। আর খুব সহজে যাতে পরিচয় না মেলে সেজন্য দেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে লুকিয়েছে অন্য কোথাও। মরদেহের মাথা এখনো খুজে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন, বনগ্রাম ইউনিয়নের দাসখালী এলাকাটি মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ ঘাঁটি। এখানে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ২০১০ সাল থেকে এই এলাকায় কমপক্ষে ৫টি খুনের ঘটনাও ঘটেছে। এখানে বাস ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে ইতিপূর্বে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে কড়াবেৌলা গ্রামের জোহর আলীর ছেলে ওবায়দুর সিকদারের মাথাবিহীন বিকৃত লাশ পাওয়া যায় দাসখালী গ্রামের সামসুল হক সর্দারের একটি পরিত্যক্ত বাগানে। সে ৩০ মে রাত থেকে নিখোঁজ ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/৭ মে ২০১৬/শরীফ