বুধবার রাতে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দুই দফা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর সংখ্যক গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি ত্রাণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে।
ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের কারণে লালমনিরহাট সদর ছাড়া বাকি চারটি উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-কুতুবুল আলম বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। বিদ্যুৎ চালু না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দারা। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না পেয়ে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আর কবে নাগাদ বিদ্যুৎ চালু হবে তাও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। তাদের ভাষ্য মতে, ঝড়ের কারণে ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা মেরামতসহ দ্রুত বিদ্যুৎ চালুর চেষ্টা চলছে।
বুধবার রাতে হঠাৎই ঝড় শুরু হয় লালমনিরহাটে। তবে রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয় দফা ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সীমান্তবর্তী উপজেলা পাটগ্রামে। সেখানে একটি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলার ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) উত্তম কুমার নন্দী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি ত্রাণ চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন