মাদক মামলায় ১৯৯৫ সালে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ফরহাদপুর গ্রামের শামছুল হকের। সেই থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ২১ বছর পালিয়ে থাকার পর গত বুধবার শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী রাংটিয়ার একটি মাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবশ্য রায়ের পর ২১ বছর পার হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ১৯৯০ সালে মামলার দিন থেকে।
জানা যায়, আসামি শামছুল হক (৭০) রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ফরহাদপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। ১৯৯০ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা হয়। তখন থেকে তিনি গাঢাকা দেন। মামলাটি আদালতে গড়ালে ১৯৯৫ সালে তার অনুপস্থিতিতে বিচারক দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু জেল খাটার ভয়ে ধরা দেননি শামছুল হক। পরিবার-পরিজন ছেড়ে মাজারে মাজারে দিন কাটাতে শুরু করেন।
বৃদ্ধ শামছুল হক বলেন, ''কারাগার ও পুলিশকে আমার ভীষণ ভয়। সেই ভয়ে ফেরারি হয়ে দেশের বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়িয়েছি। আপনজনের সান্নিধ্য ছেড়ে এই বৃদ্ধ বয়সে কাটিয়েছি সন্ন্যাস জীবন। চার মাস ধরে ঝিনাইগাতীর শাহ সেকান্দার আলীর মাজারে ছিলাম।''
ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ''ভিন্ন চিন্তা ও ধর্মীয় নেতাদের হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে মাজার, মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এলাকায় নতুন লোক এসে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে পুলিশ সোর্স নিয়োগ করে খবর নেয়। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে সোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়। সোর্সকে তিনিই ওই ঘটনা বলেন। এরপর তাঁর ছবি তুলে গোদাগাড়ীতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তথ্য নিশ্চিত করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে ওই থানায় হস্তান্তর করা হবে।''
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ