ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিনদিনের টানা প্রবল বৃষ্টি ও নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে এবং ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৫’শত কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হাজার হাজার একর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চর কাচিয়া, জালিয়ার চর, টুনুর চর, কানিবগা ও চরলক্ষী গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখন পানির নিচে। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারনে লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে ভেসে গেছে মাছের ঘের। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজার হাজার একর ফসলের জমি। পানিবন্দি মেঘনা উপকূলীয় চরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, ৩ দিন ধরে পানিবন্দি থাকলেও এখনো তাদের কাছে কোন শুকনো খাবার পৌঁছায়নি। উপজেলার অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দুর্যোগ মোকাবেলা সমন্বয়ক মো. শামীম হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। নদীর তীরবর্তী উপকূলীয় এলাকা থেকে আরো মানুষ নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ মে, ২০১৬/মাহবুব