বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝঁড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বজ্রপাতে দুই কৃষক হতাহত ও ২টি গাভীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।
ঝঁড়ে শতাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক হাজার কলাগাছ ভেঙ্গে পড়েছে। আজ শনিবার দুপুর ২ টার দিকে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে এই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।
ঝঁড় চলাকালে পূর্বচন্ডিপুর গ্রামের মৃত ইউনুস খানের ছেলে আলামীন খান (৩৫) ও লিটন মালাকারের একটি গাভী ও পুটিখালী গ্রামে একটি গাভী বজ্রপাতে মারা গেছে। বজ্রপাতে কালিকাবাড়ি গ্রামে মধু শেখ (৬৫) নামে এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
বিধ্বস্ত হয়েছে কুহারদাহ আরএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বলইবুনিয়ায় আলহেরা কিন্ডারগার্টেন, লক্ষনেরহাট কাসেমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা, ঘষিয়াখালী তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেতকাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিন কালিকাবাড়ি জামে মসজিদ।
এছাড়াও হোগলাবুনিয়া, পুটিখালী, চিংড়াখলী, পঞ্চকরণ, বলইবুনিয়া ও দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে ঝড়ের আঘাতে শতাধীক বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন আলামীন ফকির (৪৫), কামাল ফকির (৪৮), নিপা আক্তার (১১) ও আব্দুল মান্নান কাজী (৫৫)।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুন ২০১৬/হিমেল-০৫