দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ডাকাত-পুলিশ বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত দলের সদস্য সাইফুল ইসলাম (৫০) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ডাকাতের হামলায় এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের জাঙ্গালপুর ব্রীজ এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ডাকাত সাইফুল ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে ফুলবাড়ী উপজেলার ৩ নং কাজীহাল ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মৃত সইমুদ্দিন মোল্লার ছেলে। তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। অপরদিকে, আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসই আই আক্কেল আলী, এ এস আই শামীম মন্ডল ও পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান।
পুলিশ জানায়, গত ১২ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এড মোস্তাাফিজুর রহমানের ছোট ভাই খাজা মাঈনুদ্দিনের রাজারামপুর পকির পাড়ার বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এই ডাকাতির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আন্তঃদেশ ডাকাত দলের সদস্য সাইফুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে ঢাকার পল্লবী থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে দিনাজপুর ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী তার বাড়ি আদমপুর থেকে ডাকাতির মালামাল ও টাকা ও দেশীয় অস্ত্র সামুরাই ও ছুরি উদ্ধার করে ফেরার পথে রাত ১টার দিকে জাঙ্গালপুর ব্রীজ এলাকায় পুলিশের গাড়ির গতিরোধ করে অন্যান্য ডাকাত সদস্যরা। এক পর্যায়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গুলি চালালে ডাকাত সাইফুল ইসলাম পায়ে গুলিবদ্ধি হন। ডাকাতদের হামলায় ফুলবাড়ী থানার এস আই আক্কেল আলীসহ ৩ পুলিশ আহত হয়েছে।
ডাকাতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ী থানার এস আই আক্কেল জানান, ডাকাতরা গুলি ছুড়লে আমরাও গুলি চালাই। এ সময় ডাকাতরা ১২ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। সে সময় পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি চালায়।
ফুলবাড়ী থানার ওসি মকছেদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত সাইফুল ইসলাম আন্তঃদেশ ডাকাত দলের সদস্য। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ৮৫টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। তার নামে ফুলবাড়ীসহ বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও অন্যান্য জেলায় ৮১টি ডাকাতি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর পাঁচ থানার ওসিরা তাকে দেখার জন্য ফুলবাড়ী থানায় এসেছিল।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুন ২০১৬/শরীফ