ঠাকুরগাঁওয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফি জমা দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। কোথাও কোথাও নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, এবারে দেশব্যাপি এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। এদিকে পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য ভর্তি ফি জমা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিওর ক্যাশের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার পদ্ধতি চালু করায় এই ঝামেলা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে শিওর ক্যাশ ( যমুনা ব্যাংক ) এর এজেন্ট না থাকায় শুধু কলেজের সামনে একটি দোকানে ভর্তির ফি নেওয়া হচ্ছে। আর এই সুযোগে নির্ধারিত ফি'র থেকে বেশী টাকা নিচ্ছেন দোকানদাররা।
ঠাকুরগাঁও মহিলা কলেজ ও সরকারি কলেজের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি ফি মোতাবেক মানবিক বিভাগের জন্য ১ হাজার ৯ শত ৩০ টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও দোনাদার ফরম পুরন, ভ্যাটসহ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ২ হাজার ১ শত ৫০ টাকা নিচ্ছেন। এছাড়া মহিলা কলেজের সামনের দোকানে ফরম পুরন করার জন্য শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও মহিলা কলেজে ভর্তি হতে আসা ছাত্রী মাহফুজা আক্তার জানান, 'সকাল থেকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য দাড়িয়ে আছি। কাল শেষ দিন। আজ টাকা জমা দিতে হবে। আমি জানতাম ফরমসহ ২ হাজার টাকা লাগবে। এখন এখানে টাকা বেশি চাচ্ছে। আবার টাকা আনার জন্য বাসায় যেতে হবে।'
আরেক ভুক্তভোগী ছাত্রী আকলিমা জানান, অন্য কোথাও টাকা জমা দেওয়া যাচ্ছে না। আমি দুই জায়গায় গেলাম। সবাই কলেজের সামনে দেখিয়ে দিচ্ছে। এখানে এসে দেখি বিশাল বড় লাইন। রমজান মাশে এত বড় লাইনে কি দাড়িয়ে থাকা যায়। তার উপরে এখানেই ফরম পুরন করতে হবে। এখানে কম্পিউটারে নেটের স্পিড নাই। কিন্তু আমাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মহিলা কলেজের সামনের কম্পিউটার দোকানের মালিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শিওর ক্যাশ পাঠালে আমার কোন লাভ হয় না। তাই টাকা বেশি করে নিচ্ছি ফরম পুরন ও খরচ বাবদ।
এ বিষয়ে শিওর ক্যাশ এর ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার সাহিন আলম এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে চলে যান।
বিডি প্রতিদিন/২০ জুন ২০১৬/হিমেল-০৫
