নাটোরের কাফুড়িয়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আলম আলালের হাতে ছুরিকাহত হয়ে গত ১৫দিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একই স্কুলের শিক্ষক ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
চিকিৎসাধীন শিক্ষকের সহকর্মীরা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিলেন স্কুলের শিক্ষক ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম। এই ঘটনার জের ধরে গত ৬ জুন বিকেলে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আলম আলাল মোবাইলে শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে কাফুড়িযা বাজারে ডেকে পাঠান। সভাপতির ডাকে তিনি কাফুড়িয়া বাজারে আসা মাত্রই শত শত লোকের সামনে কাওছার আলম আলাল ও তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী নয়ন, জাহাঙ্গীর, হারুন এবং বাচ্চু তাকে এলোপাতাড়ি ছুড়িকাঘাত করতে থাকে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এসে মিঠু নামের স্থানীয় এক যুবক ছুড়িকাহত হন। আহত স্কুল শিক্ষকের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে গুরুত্বর জখম অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে নাটোর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ