নোয়াখালীর বিচ্ছিন্নদ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পৃথক ২টি সন্ত্রাসী হামলায় ১১ নং নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে আ.লীগ দলীয় চেয়ারম্যান মোঃ মেহরাজ উদ্দিনসহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হাতিয়া থানা পুলিশ চেয়ারম্যান মেহরাজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের আ.লীগ চেয়ারম্যান মোঃ মেহরাজ উদ্দিন বৃহপতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সিড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠার সময় হঠাৎ নিুঝুমদ্বীপ ইউপি সচিব মোঃ ছিদ্দিক আহমেদ জুয়েল ও সন্ত্রাসী মামুনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাতাড়ী মারধর করে রক্তাক্ত করে সিড়ির নিচে ফেলে রেখে যায়। চেয়াম্যানের চিৎকারে থেকে লোক জন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাতিয়া থান পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উল্লেখ্য গত ১৫ মে জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে চেয়ারম্যান মোঃ মেহরাজ উদ্দিন ও সচিব মোঃ ছিদ্দিক আহমেদ জুয়েলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে বুধবার রাতে নিঝুমদ্বীপের আ.লীগের দলীয় চেয়ারম্যান মেহরাজ ও আ.লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সমর্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে ছাইয়াখালী খাল ইজারা নিয়ে ফের সংঘর্ষ হয়। এতে চেয়ারম্যান গ্রুপের ২০ জনসহ ৩০ আহত হয় এবং চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা চালায় এবং কয়েকজন গুলিবৃদ্ধ হয়।
আহতরা হচ্ছেন শাহরাজউদ্দিন (৩৫), আবুলকাসেম (৪০), মোঃ আবুল কালাম (৩০), কামরুল ইসলাম (৩৫), মোঃ জসিম উদ্দিন (২৮), মোঃ মিল্লাত উদ্দিন (৩২), মোঃ জিন্নুর (২৫), আলাউদ্দিন (২৮), (৩১), মোঃ আকবর হোসেন (২৯), মোঃ জাফরউল্ল্যাহ (৩০), মো: ইসমাইল হোসেন (২৫), মোঃ বেলালউদ্দিন (৩৫), মোঃ হেলালউদ্দিন (৩৫), জুয়েলউদ্দিন (২৫), মোঃ জাবের হোসেন (৪০) মোঃ কেফায়েত হোসেন (২৭), মোঃ আবুতাহের (৩৫)সহ ৩০ জন।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাতিয়া থানার ওসি আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ব্যপারে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন