দিনাজপুর-পার্বতীপুর সড়কটির ৩০কিমি এলাকা জুড়ে বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটির দুইধারের মাটি সরে যাওয়ায় এবং নিচু স্থানে পানি জমে যাওয়ার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এসব গর্তের কারণে সড়কটিতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় ছোট যানবাহনগুলো বড় যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার ধারে উল্টে পড়ে যাচ্ছে। ফলে এই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে।
প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক ট্রাক, যাত্রীবাহি বাস, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, রিক্সাভ্যান এ সড়কটি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছে। রাস্তাটি সরু ও বেহাল দশার কারণে যে কোন মূর্হুতে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
চিরিরবন্দরের ব্যবসায়ী নেতা মোকারম হোসেন মুকুল, শ্রমিক নেতা আসলাম আলী, ট্রাক ড্র্রাইভার আব্দুল মতিন ও আব্দুর রশিদ জানান, সড়কটির চওড়া ও সংস্কার করা না হলে সড়কটিতে দুর্ঘটনা লেগেই থাকবে। অকালে প্রাণ হারাবে আবার অনেককেই পঙ্গুত্ববরণ করতে হবে।
উপজেলার ঘুঘুরাতলীতে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, রাস্তাটি সরু ও সাইড দেয়ার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সাইকেলে চড়ে, ভ্যানে ও টেম্পুতে করে যাতায়াত বর্ষা মৌসুমে কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও গাড়ির চাকার মাধ্যমে ছিটকে আসা পানি দিয়ে পরনের কাপড় ও ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে যায়।
চিরিরবন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওএফএম মোরশেদ উল আলম জানান, এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সব দুর্ঘটনা পত্রিকায় আসেও না। আপাতত ইটভাটার ইটের গুড়া দিয়ে রাস্তার পার্শ্বের গর্তগুলি ভরাট করে মোটামুটি দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ জুলাই ১৬/ সালাহ উদ্দীন