প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে মেনে না নেয়ায় আবদুল হান্নান জিসান (২৮) নামের এক ছাত্রনেতা গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার রাতে ফেনী শহরের পুলিশ কোয়ার্টারস্থ ডানহাম সড়কের রেণু ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জিসান কুমিল্লারা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি ও বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আবদুল মন্নান পাটোয়ারীর পুত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিসান পাঁচ বছর আগে ফেনী শহরের আল-কেমী হাসপাতালে কর্মরত নার্স নাসরিন আক্তারকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। দুজনের পরিবারই বিয়েতে রাজি না থাকায় তারা ফেনী শহরের রেণু ভবনের ভাড়া বাসায় থাকতেন। জিসান বিয়ের পর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়ার পাশাপাশি এশিয়ান ফুড কোম্পানিতে চাকরি নেয়। কিছুদিন ধরে দু’জনের পরিবার সম্পর্ক শেষ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে জিসান শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার কর্মস্থলে চলে গেলে বাসার দরজা বন্ধ করে গলায় রশি পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে জিসানের লাশ হস্তান্তর করে। শনিবার বিকেলে নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ