বাগেরহাটে নদ-নদীতে বন্যার পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ভারী বর্ষণে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরের গ্রামগুলো হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুর ও চিংড়ি ঘেরের মাছ। এসব এলাকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। অনেকস্থানে বাড়ি-ঘরে পানি উঠে রান্না-খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে স্লুইচ গেটগুলো দিয়ে ঠিকমত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ আরও বাড়ছে। বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ ও মংলা পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও বস্তি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, কচুয়া ও সদর উপজেলার ৫০টির অধিক গ্রামের মানুষ মানবেতর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। বীজতলা ও পানবরজের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। জেলার ১২টি স্থানে বেড়িবাঁধ ও সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
রবিবার বাগেরহাট সদরের ইউএনও শরীফ নজরুল ইসলাম বারইপাড়া, বিষ্ণুপুর, গোটাপাড়া ও কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম সরেজমিন পরিদর্শন করে জানান, ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার দুপুরে জোয়ারের সময় ভৈরব নদের পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের প্রাণকেন্দ্র রাহাতের মোড়, ডাকবাংলা, কাপুড়ে পট্টি, সাধনার মোড়, পুরাতন বাজার, মিঠাপুকুর পাড়, লোকাল বোর্ড ঘাট, বাসবাটি ও খারদ্বারসহ বিভিন্ন এলাকা। বাগেরহাট পৌরসভায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ