বন্যার পানিতে আসাম থেকে ভেসে আসা বন্য হাতিটি না নিয়েই ফিরে যাচ্ছে ভারতীয় দল। হাতিটিকে উদ্ধারের জন্য যে তিন সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি এসেছিল, সেই দলটি আজ ঘটনাস্থল থেকে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। হাতিটি এখনও জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি নদী চর এলাকায় অবস্থান করছে, তাকে দেখার জন্য সেখানে ভিড় করছে শত শত লোক। খবর বিবিসি বাংলার।
ঘটনাস্থলে থাকা বন বিভাগের কর্মকর্তা অসীম মল্লিক জানিয়েছেন, সেখানকার উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে বন্য হাতিটি কখনোই পানি থেকে উঁচু ডাঙ্গায় উঠতে পারছে না। আর এ কারণে হাতিটির উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, সবচে' বড় সমস্যা বুনো হাতিকে পানিতে ট্রাঙ্কুলাইজার দেয়া হলে তাকে জীবিত উদ্ধার করা যাবে না। সে পানিতে পড়ে যাবে। আর লোকজন এমনভাবে হাতির চারেপাশে ভিড় করছে যে হাতি কূলে উঠতে পারছে না। কাজও এগোচ্ছে না।
হাতিটি এখন জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি নদী চর এলাকায় পানিতেই অবস্থান করছে। দিনের বেলায় পানিতে থাকে, রাতে উঁচু জায়গায় চলে আসে। তাই এখন রাতে অভিযান করার কথা ভাবছেন কর্মকর্তারা।
গত ২৬ জুন কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ভেসে আসে ভারতীয় হাতিটি। একমাস ধরে নদীতে সাঁতার কাটছে হাতিটি। মাঝে মাঝে ব্রহ্মপুত্রের চরগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। খাবারের জন্য ঢুকে পড়ছে চরএলাকার লোকালয়ে। হাতিটির কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ