পাবনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিসমতপ্রতাপপুর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়ের ওই গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১৬ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মুন্সি আব্দুল কুদ্দুস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কিসমত প্রতাপপুর গ্রামের দুই চাচাতো ভাই আব্দুল কুদ্দুস মালিথা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা রান্নু মালিথার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় দুই পক্ষ লাঠিসোঁঠা ও বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কুদ্দুস মালিথার লোকজন সশস্ত্র হামলায় চালায়। এ সময় রান্নু মালিথা, তার স্ত্রী, ভাবীসহ তার পক্ষের ১৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন: লাকী খাতুন, শাহানা খাতুন, বেবী, অনিক, দেলোয়ার, গাফফার, আরজু, রোজিনা, মান্নান, রেজা, রাজ্জাক, সুমন, রান্নু, ডলি, কল্পনা প্রমুখ।
এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনা পাবনা সদর থানায় রান্নু মালিথা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা জানান, এটা তাদের পারিবারিক বিরোধ। এ ঘটনা যে এত বড় রুপ ধারন করবে আমাদের জানা ছিলনা।
এ বিষয়ে রান্নু মালিথা বলেন, আমি হেমায়েতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই কুদ্দুস মালিথা আমার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। আমার ছোট ভাইয়ের পুকুর দখল, মারপিটসহ নানা ঝামেলা করতে থাকে গত কয়েক মাস ধরে। সে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাকুরী করার সুবাদে আমাদের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। যে কোন মূল্যে আমার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছে সে। এখন আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে কুদ্দুস মালিথার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ