মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাপ্পড় মারলেন একই বিল্ডিংয়ে অবস্থিত রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে। বুধবার সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকার ছাত্র-ছাত্রী-অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নির্যাতিত ওই শিক্ষিকা তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, একই বিল্ডিংয়ে শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এ নিয়ে দুই প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ অবস্থায় বুধবার সকালে ওই স্কুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোকসভার আয়োজন করা হলে রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ দুটি তালা দিয়ে রাখেন। বিষয়টি দুজনের মধ্যে সুরাহা না হওয়ায় প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস আকতার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালেককে জানান। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিষয়টি সংরক্ষণের জন্য মোবাইলে ভিডিও করার চেষ্টা করলে সময় প্রধান আব্দুস সালাম রাগান্বিত হয়ে শিক্ষা অফিসারের সামনেই শিক্ষিকার গালে থাপ্পড় মারেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস আকতার জানান, স্কুল কক্ষ বন্ধ থাকায় পরিদর্শন খাতায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষর করতে পারবে না বলে ডকুমেন্ট সংরক্ষণের জন্য মোবাইলে বিষয়টি ভিডিও করে রাখার জন্য মোবাইল ভিডিও করছিলাম। এতে এস বি রেলওয়ে কলোনি প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুস সালাম আমাকে থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আব্দুস সালাম একজন শিক্ষক নেতা। তাই এর বিচার পাবো কিনা এ নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
তবে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, মোবাইলে ভিডিও করার সময় শুধু হাত দিয়ে তার মোবাইল সরিয়ে দিয়েছি। তাকে থাপ্পড় মারা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালেকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে পরে কথা বলব বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন জানান, অভিযোগ দেবার জন্য ওই শিক্ষিকা এসেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অভিযোগ না দিয়েই চলে গেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ