কুড়িগ্রামের পুরাতন রেল ষ্টেশনের রিভারভিউ মোড়ের ব্যবসায়ী মোঃ সহিদ আলীর উপর প্রকাশে রামদা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ঐ এলাকার কিছু সন্ত্রাসী। পরে এলাকাবাসী মোঃ সহিদ আলীকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর ছেলে মোঃ পারভেজ ইবনে সুলতান বাদী হয়ে সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্ল্যেখ করে মামলা দায়ের করলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের হুমকী-ধামকীতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ব্যবসায়ী মোঃ সহিদ আলী।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধায় মাদক ব্যবসায়ী তারা মিয়ার সাথে একই এলাকার মাদকাসক্তদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী মোঃ সহিদ আলী তাদেরকে থামিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা মিয়ার ভাই লিমন ও লিটনসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী রামদা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধা ৭ টার দিকে মোঃ সহিদ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মোঃ সহিদ আলী কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। কাধ ও হাতসহ তারে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১১টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ীর ছেলে পারভেজ ইবনে সুলতান বাদী হয়ে সদর থানায় মোঃ লিমন (২৭), মোঃ লিটন (২৮), মোঃ তারা মিয়া (৪৬), মুরাদ (১৯), মোঃ বাবু মিয়া (৪২), মোঃ নাজমুল হক (২০) ও বিপাশ (১৯) এর নামে মামলা করে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আব্দুস সোবহান জানান, 'আসামীরা পলাতক রয়েছে বলেই গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে তাদের গ্রেফতার করা হবে'।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ তাফসীর