ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ এর প্রভাবে উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ আশপাশি এলাকায় বুধবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে ভ্যাপসা গরম পরিবেশ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পেঁকে যাওয়া ধান নষ্ট হওয়া ও সদ্য ধানের শীষ বের হওয়া ধান ক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় হাজার হাজার কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পরেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ সামান্য পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অগ্রহয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝরটি চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরো ঘনিভূত হয়ে পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের ৫৪ কিলোমিটার কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক কাপিল মিস্ত্রি বলেন, "আমার দুই একজর জমিতে উচ্চ ফলনশীল-৬২ জাতের ধান পেঁকে গেছে। আর কয়েকদিন পর তা কেটে ঘরে তুলবো। এরমধ্যে যদি দূর্যোগ সৃষ্টি হয় তবে আমার জমির কমপক্ষে ২৫ মণ পাঁকা ধানের অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"
একই সাথে অপর কৃষক মো.বাদশা মিয়া বলেন, "জমিতে ধানের গাছ থেকে মোচরা (ধানের শীষ) বের হতে শুরু করছে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় আমরা এখন আতঙ্কিত। একই শঙ্কা উপজেলার হাজারো কৃষক।"
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মশিউর রহমান বলেন, "ইতোমধ্যে ধানের পরাগায়ন হয়ে গেছে। এখন শীষে দুধ ও কিছু শক্ত গোটাও সৃষ্টি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা না। যদি ঘূর্ণিঝড় সরাসরি আমাদের অঞ্চলের ওপর দিয়ে যায় তখন কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতের পারে। আর যে ধান পেঁকে গেছে, সেগুলো থেকে কিছু ধান ঝড়ে যেতে পারে। তবে তেমন ক্ষতি হবে না।"
বিডি-প্রতিদিন/২৬ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর