টানা ২২দিন অবসর সময় পার করার পর আবারও সরব হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের শরণখোলার জেলে পল্লী। আজ বুধবার রাত ১২ টার পর পরই শেষ হতে যাচ্ছে মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত অবরোধের নির্ধারিত সময়। তাই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে জেলেদের। বরফ কলের ঘাটগুলোয় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে, অবরোধ সফল করায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে উপজেলার সকল মৎস্য ব্যবসায়ী, আড়ৎদার, ট্রলার মালিক এবং জেলেদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার রাজৈর এলাকার বরফ কলের ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ট্রলার জড়ো হয়েছে পাঁচটি বরফ কলঘাটে। শ্রমিকরা ট্রলারগুলোতে বরফ ভরছেন। জেলেরা জাল তুলছেন ট্রলারে। দীর্ঘ অবসর সময় কাটানোর পর সাগরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাঝিমাল্লারাও যথাসময়ে হাজির হয়েছেন। রাত ১২টার পরই শুরু হবে তাদের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সফলভাবেই ইলিশ অবরোধ শেষ হয়েছে। শরণখোলার কোনো জেলেই অবরোধের মধ্যে নদী-সাগরে জাল ফেলেনি। অবরোধের সময় তারা জাল-ট্রলার মেরামতে সময় পার করেছে। বলতে গেলে শতভাগ সফল হয়েছে ইলিশ অবরোধ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ ও ইলিশ অবরোধ সফল করতে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে শরণখোলায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। জেলে-মহাজনরাও আন্তরিকভাবে আমাদের আহবানে সাড়া দিয়েছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ অতুল মন্ডল বলেন, অবরোধ চলাকালীন কোনো জেলে মাছ ধরতে নামেনি। এমনকি ২২দিনে একটি মোবাইল কোর্টও পরিচালনার প্রয়োজন হয়নি। অবরোধ শুরুর আগে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি জেলে-মহাজনদের নিয়ে একাধিক সভা-সমাবেশ করা হয়েছে। জেলে-মহাজনদের আন্তরিকতায় এবারের অবরোধ শতভাগ সফল হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ/১০