লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরা চলছে পুরোদমে। দীর্ঘ ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। নিষিদ্ধ থাকাকালীন জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল সকলে না পেলেও নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছে পুরোপুরি। ৩ নভেম্বর সকালে মিলাদ মাহফিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জেলেরা মাছ ধরতে নামে মেঘনা নদীতে। জেলেরা জানান, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।
উপজেলার মোট জেলের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৫৩০। দীর্ঘদিন পর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। চরবংশী গ্রামের জেলে আব্দুল লতিফ মাঝি বলেন, ইলিশ ধরার মৌসুমের শুরুতে দাদনের টাকা নিয়ে নৌকা কিনি। কিন্তু তখন নদীতে তেমন একটা মাছ পাইনি। এ কারণে হতাশ ছিলাম। এখন মৌসুমের শেষের দিকে এসে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় আমার পরিবারের লোকজন খুশি।
রায়পুর উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, উত্তর চর আবাবিল, দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়ন মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার ৫৩০ জেলে পরিবার রয়েছে। মেঘনা নদীতে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে তারা। কিন্তু ৬-৭ বছর ধরে মেঘনা নদীতে মাছ কম পাওয়ার কারণে তাদের সংসারে চরম অভাব দেখা দেয়। এ বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় কিছুটা হলেও অভাব ঘুচাবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সবুজ বলেন, সরকারের ইলিশ রক্ষা অভিযান মানার কারণে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ভবিষ্যতেও জেলেরা যদি সরকারি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে এ অঞ্চলে ইলিশের চাহিদা মিটিয়ে অন্য অঞ্চলে ভালো দামে ইলিশ বিক্রি করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/৪ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা-০৩