অত্যন্ত সরল এবং সাবলীল ভাষার মধ্য দিয়ে সাহিত্যকে তরুন প্রজন্মের মধ্যে তুলে ধরেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি শুধু সাহিত্যেই নন, নাটক, সিনেমা এবং টেলিফিল্মের মধ্য দিয়ে মানুষের ভেতরে প্রবেশ করতেন। ক্ষণজন্মা এমন গুনী লেখকের জন্মদিনে তাই নেত্রকোনা জেলা শহরেও আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে 'প্রিয় হিমুর জন্মদিন'।
নেত্রকোনা হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মোক্তারপাড়া প্রেসক্লাব সড়কের স্থানীয় “বাংলার নেত্র” পত্রিকা কার্যালয়ে রবিবার রাত ৮টায় জন্মদিন উদযাপিত হয়। সংগঠনটির সভাপতি তানভীর জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথি ক্ষুদে হিমু রোদসীকে কেক খাইয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হায়দায় জাহান চৌধুরী, প্রবীন সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, প্রেসক্লাব সম্পাদক মুখলেছুর রহমান খান, টেলিভিশন ফোরামের সভাপতি ম. কিবরিয়া হেলিম, সংগঠনটির সহ-সভাপতি এ কে এম আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলপনা বেগম, ছাত্রলীগের সাবক ভিপি দেবাশীষ সাহা দেবু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সম্পাদক কামাল হোসাইন।
এ সময় বক্তারা নন্দিত কথা সাহিত্যিকের কর্মময় জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ তুলে ধরে আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্মের হাতে বইয়ের বদলে ফেইসবুক চলে এসেছে। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি একটা সময়ে যেভাবে তরুনদের মনে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছিলেন সেটি আজও অব্যাহত থাকতো। কিন্তু তার মত এই গুনী লেখকের অকাল প্রয়ানে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। সেটিকে ধরে রাখতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদের যতটুকু সাহিত্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার সবটুকুই বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ