টাঙ্গাইলে বিয়ের যৌতুকের দাবি মিটাতে না পারায় শাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার বিকেলে সখীপুর উপজেলার নলুয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাশুড়ি জহুরা বেগম বাসাইল উপজেলার বাংড়া জোরবাড়ি গ্রামের মেহের আলীর স্ত্রী।
জানা যায়, বাসাইল উপজেলার বাংড়া জোরবাড়ি গ্রামের মেহের আলীর মেয়ে মরিয়ম আক্তারের গত ৮ মাস আগে বিয়ে হয় সখীপুর উপজেলার নলুয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের লাল মিয়োর ছেলে হাসান সজীব রাজিবের সাথে। কথা ছিল বিয়ের সময় তিন ভরি স্বর্ণ দেয়ার। কিন্তু বিয়ের সময় নগদে দুই ভরি স্বর্ণ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বাকি এক ভরি স্বর্ণ দাবি করে স্বামীর পক্ষ। তারপর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও বিদেশ যাওয়ার জন্য তিন দফা দুই লাখ টাকা দাবি করে রাজিবসহ তার পরিবারের লোকজন। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় বিয়ের পরই মরিয়মকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বার বার মরিয়মকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি যায় মেহের আলী। কিন্তু তাড়িয়ে দেওয়া হয় প্রতিবারই।
সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলে মরিয়মের বাবা মেহের আলী ও মা জহুরা বেগম মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে সাথে নিয়ে জামাই রাজিবদের বাড়িতে যান। এসময় যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পরে রাজিব ও তার পরিবারের লোকজন মেহের আলী ও তার স্ত্রী-মেয়ের উপর চড়াও হয়। এলোপাথারী পিটিয়ে শাশুড়ি জহুরা বেগমকে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। ডাক্তার বলছেন, হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা যান।
এদিকে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত শেষে বুঝা যাবে কিভাবে মারা গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল