বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় মো. আশরাফ আলী হাওলাদার (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকে নিয়ে মারপিটের ঘটনায় নিশানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহিম বাচ্চুর নামে অবশেষে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার ক্যাডার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতার না করলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের আটকের জন্য অভিযান চলছে। আহত মুক্তিযোদ্ধা এখনও মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার জানায়, একটি তুচ্ছ ঘটনার সালিশ বিচারের কথা বলে মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলীকে মঙ্গলবার সকালে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু তার ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নেয়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধার উপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকে নিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি নিজ হাতে মারপিট করা জঘন্য অপরাধ। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চুকে দ্রুত গ্রেফতার না করা হলে বিজয় দিবসের সকল সরকারি অনুষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধারা বর্জন করবে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী হাওলাদারকে মারপিটের ঘটনায় তার ছেলে রাসেল হাওলাদার বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার ক্যাডার বাহিনীর আরো ১৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ