সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ। এ তৎপরতার ফলে আগের তুলনায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনেকটা কমে আসছে বলে জানা গেছে। তবে গত কয়েকদিনে দেশের অভ্যন্তরে অসংখ্য রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থল ও নদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা ও সহযোগিতাকারী দালালদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান শুরু করে বুধবার দুই দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তুষার আহম্মেদের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশের পৃথক যৌথ টাস্কফোর্স অভিযানে রোহিঙ্গা পারাপারের সহযোগিতার অভিযোগে ৭ দালালকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে মো. শফি উল্লাহ(৪২), একই এলাকার মৃত ওবাইদুর রহমানের ছেলে শামসুল আলম(৪৫), নাজির আহাম্মদ কালুর ছেলে সেকান্দর বাদশা (২৮), হ্নীলা নাইক্ষংখালী এলাকার আবুল হাসিমের ছেলে মো. আলম(৪৫), দমদমিয়া এলাকার সালামত উল্লাহর ছেলে মো. জুবাইর (২২), একই এলাকার বাঁচা মিয়ার ছেলে মো. ইদ্রিস(২৪) ও হ্নীলা মোচনী পাড়া এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মো. জালাল উদ্দীন(৩৩)।
একইদিন দুপুরে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) তুষার আহম্মেদের নেতৃতে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক শফি উল্লাহ, শামসুল আলম, সেকান্দর বাদশাকে ২ মাসের এবং মো. আলম, মো. জুবাইর, মো. ইদ্রিস ও মো. জালাল উদ্দীনকে এক মাস করে সাজা প্রদান করা হয়। পরে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কক্সবাজার জেলে প্রেরণের জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানায়।
অপরদিকে ২ বর্ডার র্গাড ব্যাটলিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, টেকনাফ সীমান্তের নাফনদীতে রোহিঙ্গা বোঝায় ১৪টি নৌকা প্রবেশের চেষ্টা করার খবর পেয়ে বিজিবির টহল টিমকে অবহিত করা হয়। এরপর সকালের দিকে বিজিবি সদস্যরা দেশীয় জলসীমা থেকে ওই সব নৌকাগুলোকে মিয়ানমারের দিকে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানায়। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত রয়েছে বলে জানায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ-০৬