মংলায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের দু’সদস্যসহ স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মংলা পৌর শহরের দুইটি বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা। এ দস্যু দলের সিন্ডিকেটে অন্তত ২০ জন সদস্য সক্রিয় রয়েছে বলে আটককৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, সংঘবদ্ধ এ চক্রের সদস্যরা গত দেড় মাসে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঘটে যাওয়া দস্যুতার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পুলিশ এ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
দস্যু দলের সদস্যরা আটক হওয়ার খবরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় জমে থানা চত্বরে। মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ লুৎফর রহমান জানান, গত রবিবার গভীর রাতে শহরের ফেরী ঘাট এলাকায় কোহিনুরের বাড়িতে এবং সোমবার রাতে শহরতলীর পশ্চিম শেহলাবুনিয়ায় বন্দর সিবিএ নেতা শওকত আলীর বাড়িতে দস্যুতা সংঘটিত হয়। এ সময় দস্যু দলের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। একের পর এক দস্যুতা ও ডাকাতির ঘটনার সূত্র ধরে দস্যু সিন্ডিকেটের অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে টিএসআই উত্তম চ্যাটার্জি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে খুলনা জেলার দাকোপ থানার বানীশান্তা পতিতা পল্লীতে অভিযান চালিয়ে দস্যু সিন্ডিকেট চক্রের মূল হোতা সোহেলকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে সহযোগী কালু নামের আরেক জনকে আটক ও লুণ্ঠিত নগদ টাকা স্বর্ণালংকারের আংশিক উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে চোরাই স্বর্ণালংকার কেনার অভিযোগে মংলা শহরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দস্যু সিন্ডিকেট দলের সদস্যরা জানায়, মংলা পৌর শহরসহ আশপাশের এলাকায় বসত বাড়িসহ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডাকাতি ও লুণ্ঠনে অন্তত ২০ সদস্য সক্রিয় রয়েছে। এরা শুধু মংলা এলাকা ছাড়াও জেলা ও রাজধানী এবং দেশীয় বিভিন্ন স্থানে দস্যুতার কাজ করে থাকে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের আটকে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক দস্যু সোহেল (৩৫) মংলা শহরের বালুর মাঠ এলাকার আব্দুল জলিলের আর কালু (৩০) শহরের ফেরীঘাট এলাকার কুদ্দুছ গাজীর পুত্র। তাদের বিরুদ্ধে মংলা থানায় একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।